,

দালালদের খপ্পড়ে পড়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি :: নবজাতকের মৃত্যু :: মা সংকটাপন্ন

জুয়েল চৌধুরী : সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা অনিতা রানী নরমাল ডেলিভারী করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি মায়ের অবস্থাও আশংকাজনক। এ ঘটনাটি নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ৫ মে বানিয়াচং উপজেলার রতনপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২০) প্রসব ব্যথা নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করার জন্য ওই কেন্দ্রে যান। সেখানে যাবার পর স্বাস্থ্যকর্মী আনিতা রাণীকে কিছু টাকা দিলে নরমাল ডেলিভারী করার আশ^স্থ করেন। গ্রামের সহজ সরল পারভেজ মিয়া রাজি হন। এ সময় তাকে বিভিন্ন স্যালাইন ও ইনজেকশন পুশ করে। গতকাল শনিবার ডেলিভারী করার প্রস্তুতি নেয়। এক পর্যায়ে টানাহেঁচড়া করে ডেলিভারী করানোর ফলে নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক হলে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে এসে দালালদের খপ্পরে পড়ে মাকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে পারভেজ জানায়, তার স্ত্রীর চিকিৎসার রিপোর্ট ভালো ছিলো। কিন্তু আনিতা রাণী টানাহেচড়া করে তার সন্তান মেরে ফেলেছেন। তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার ক্ষিতিশ চন্দ্র বনিক জানান, প্রতি মাসে ২০/২৫টি ডেলিভারি করা হয়। আনিতা সুন্দরভাবেই ডেলিভারী করেছে। কিন্তু নবজাতকের শ^াসকষ্ঠ থাকায় তাকে সদরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তারা হাসপাতালে না গিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যায়। যার ফলে অক্সিজেন না পেয়ে মারা যায়। তাদের চিকিৎসার কোনো অবহেলা ছিলো না। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। এদিকে হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে দালাল চক্র রয়েছে। জরুরি বিভাগের সামনে আসা মাত্রই ডাক্তার নেই বলে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার নামে গলাকাটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার জানান, দালাল রয়েছে সত্য। তবে থানায় তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, গত কয়েকদিনে ৪/৫ জন দালালকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান নিয়মিত চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর